বইটি সম্পর্কে

শূদ্রদের ইতিহাস -: এই পুস্তক শূদ্রদের ইতিহাস এবং ভারতীয় সমাজে তাদের অবস্থা কেমন ছিল তার উপর ভিত্তি করেই লেখা হয়েছে। লেখক, ভীমরাও আম্বেদকর, শাস্ত্রীয় গ্রন্থ, পৌরাণিক প্রমাণ এবং বংশ পরম্পরায় চলে আসা বিভিন্ন মৌখিক উৎস গুলির ব্যবহার করে শূদ্রদের জীবন এবং তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এই পুস্তকে নিম্নলিখিত বিষয় গুলি বিস্তৃত ভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে প্রাচীন ভারতে শূদ্রদের উৎপত্তি এবং সামাজিক স্থিতি।
বর্ণ বৈষম্যে শূদ্রদের স্থান ।

• শূদ্রদের জীবিকা এবং আর্থিক জীবন।
• শূদ্রদের শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক গতিবিধি ।
• শূদ্রদের ধার্মিক বিশ্বাস এবং প্রথা ।
  মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগে ভারতে শূদ্রদের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন ছিল এই পুস্তক “শূদ্রদের ইতিহাস”-এ সেই বিষয় গুলিই সম্পূর্ণ রূপে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, কিছু তথ্য প্রদান করা হয়েছে। তা বর্ণ বৈষম্য এবং ভারতীয় সমাজে সামাজিক ভেদাভেদ গুলিকে বুঝতে সাহায্য করে। তা শূদ্রদের নিজেদের অধিকার এবং সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্য যে সংঘর্ষ করতে হয়েছে সেই বিষয়ে সচেতন করে তোলে। এই পুস্তক পড়ার সময় সমালোচনামূলক চিন্তা-ধারার ব্যবহার করাটা খুবই জরুরি এবং বিভিন্ন উৎসের থেকে জ্ঞান লাভ করাটাও প্রয়োজন।

লেখক সম্পর্কে

ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর কেবল ভারতের সংবিধানের স্থপতিই ছিলেন না, তিনি একজন মহান সমাজ সংস্কারকও ছিলেন যিনি অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, নারী অধিকারের পক্ষে ছিলেন এবং পিছিয়ে পড়া জাতি ও নিপীড়িত শ্রেণীর অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কেবলমাত্র আইনি সংস্কারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি ছিলেন একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নেতা যার একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাঁর দেশের মঙ্গল এবং উন্নয়ন। তাঁর জীবন কেবল সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিত ছিল। ডঃ আম্বেদকরের ব্যক্তিত্ব এতটাই মহান ছিল যে এটি সাধারণ নেতাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। তাঁর মূল নীতি ছিল “প্রথমে জাতি”, এবং তিনি এমন একটি শাসন ব্যবস্থার কল্পনা করেছিলেন যেখানে প্রতিটি নাগরিক স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের নীতির সাথে সমানভাবে সম্মানিত হবে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে জাতি বা পটভূমি নির্বিশেষে প্রতিটি ব্যক্তির এই মৌলিক অধিকারগুলি উপভোগ করা উচিত।

একজন বিশিষ্ট আইনবিদ, অর্থনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক এবং রাজনৈতিক নেতা হিসেবে, ডঃ আম্বেদকর ভারতীয় সংবিধান প্রণয়নকারী কমিটির সভাপতিত্ব করেছিলেন এবং পরে ভারতের প্রথম আইন ও বিচারমন্ত্রী হয়েছিলেন। জাতির প্রতি তাঁর অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে তাঁকে মরণোত্তর ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান “ভারতরত্ন” প্রদান করা হয়। তাঁর অবদানের স্মরণে অনেক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে তাঁর উপস্থিতি এখনও জনপ্রিয়, যা জাতি গঠনে তাঁর অমূল্য ভূমিকার প্রতিফলন ঘটায়।